মশা ধরে দিতে পারলেই নগদ টাকা
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
১৯-০২-২০২৫ ০৪:১৭:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৯-০২-২০২৫ ০৪:১৯:৫৫ অপরাহ্ন
প্রতীকী ছবি
মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একই সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু। এমন পরিস্থিতিতে জীবিত অথবা মৃত মশা ধরে দিতে পারলেই পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফিলিপাইনের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরের কেন্দ্রগুলোর একটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গুর বিস্তার বন্ধ করতে এমন পুরস্কার ঘোষণা করেছে। খবর বিবিসির।
ফিলিপাইনের ব্যারাঙ্গে অ্যাডিশনাল হিলসের গ্রামপ্রধান কারলিটো সার্নাল বলেন, কেউ পাঁচটি মশা জমা দিতে পারলেই এক পেসো (স্থানীয় মুদ্রা) পুরস্কার পাবেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, রাস্তা পরিষ্কার রাখা এবং ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক পানি জমে থাকার জায়গা নষ্ট করতে উৎসাহিত করার জন্যই এমন পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জীবিত, মৃত বা মশার লার্ভা জমা দিতে পারলেই পুরস্কার দেওয়া হবে। আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট দিয়ে জীবিত মশা নির্মূল করা হবে বলেও জানান তিনি।
ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য বিভাগ (ডিওএইচ) বিবিসিকে জানিয়েছে, ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্থানীয় প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। তবে নগদ অর্থের বিনিময়ে এভাবে মশা ধরা কিংবা মেরে ফেলার মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে কি না এমন প্রশ্নের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, এখন মশার খামার করা হবে। আরেকজন লিখেছেন, শুধু একটি ডানা থাকলে কি মশা ফেরত দেওয়া হবে?
সার্নাল বলেন, মশা ধরার বিনিময়ে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে যে সামাজিকমাধ্যমে বেশ শোরগোল চলছে সে বিষয়ে তিনি জানেন। তবে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এটা প্রয়োজনীয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ব্যারাঙ্গে অ্যাডিশনাল হিলসে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের বসবাস। সার্নাল জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হারে সেখানে সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকায় ৪৪ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত করেছে। মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানিয়েছে ফিলিপাইন। ডিওএইচ জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফিলিপাইনে ২৮ হাজার ২৩৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স